মমিনুল ইসলাম রিপন: রংপুরে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের তিন সদস্যকে পৃথক পৃথক মেয়াদে সাজা দিয়েছে আদালত। দন্ডপ্রাপ্তরা হলো, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের গ্রুপ প্রধান নগরীর কেরানীপাড়ার জাহিদ হাসান ওরফে আবু জায়েদ আল আনসার, মোবারক আলম ও শাহ আলম। এর মধ্যে জাহিদকে সাড়ে ৪ বছরের কারাদন্ড, ৬ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ মাসের কারাদন্ড, মোবারক ও শাহ আলমের ৪ বছরের কারাদন্ড, ৪ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। সোমবার (২০ মে) দুপুরে রংপুর সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো মজিবুর রহমান এ রায় দেন। এ সময় আদালতে আসামীরা উপস্থিত ছিল। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর রুহুল আমিন তালুকদার।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৪ মে রাতে র্যাব-১৩ এর সদস্যরা জানতে পারে রংপুর নগরীর কেরানীপাড়ার আব্দুল্লাহ’র ছেলে জাহিদ হাসান ওরফে আবু জায়েদ আল আনসারের বাড়িতে জঙ্গী সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের কয়েকজন সদস্য নাশকতামূলক কর্মকান্ডের জন্য একত্রিত হয়েছে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে জাহিদের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। এ সময় জাহিদ আটক হলেও তার অন্য সদস্যরা পালিয়ে যায়। অভিযানে র্যাব জাহিদের বাড়িতে থাকা বোমা তৈরীতে ব্যবহৃত গান পাউবার, মোটরসাইকেলের বল বিয়ারিং, পুরাতন ক্যাপাসিটর, কচটেপ, ইলেক্ট্রিক তার, ব্যাটারী, মোবাইল সেট জব্দ করে। সেই সাথে জাহিদের মোবাইল ফোনে সংরক্ষিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া বোমা তৈরীর উপকরণ, অপরাধ সংগঠনের পরিকল্পনা ও প্রচেষ্টা সংক্রান্ত নানা তথ্যাবলি পায় র্যাব। এ ঘটনায় র্যাব জাহিদসহ তার সহযোগিদের আসামী করে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে পলাতক আসামী মোবারক আলম ও শাহ আলমকে গ্রেফতার করা হয়। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে সোমবার মামলার রায় ঘোষণা করেন আদালতের বিচারক।
সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর রুহুল আমিন তালুকদার বলেন, আদালতের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আসামী পক্ষের আইনজীবি অ্যাড. তরিকুল ইসলাম বলেন, আসামীদের স্বজনদের সাথে কথা বলে প্রয়োজনে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
